বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়: সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারছেন না। কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে তাঁরা সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ দাবি পূরণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আগামী রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক। সেই সঙ্গে নবগঠিত সংগঠন ‘স্টুডেন্টস রাইটস ফোরাম’–এর নেতারাও শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার স্টুডেন্টস রাইটস ফোরামের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়।

গত বুধবার রাতে রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিষয়টি জানার পর শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা শুরু করেন।

তবে শিক্ষার্থীদের এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানে না হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না।

লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহামুদুল হকও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন।

স্টুডেন্টস রাইটস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি। আগামী রোববারের মধ্যে সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ ঘোষণা না করা হলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’

অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি। তবে তাঁর স্বাক্ষরিত বুধবারের আদেশে বলা হয়েছে, গত ১১ মে অনুষ্ঠিত ৩০তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। সুপারিশক্রমে ৭৮তম সিন্ডিকেট সভায় তা অনুমোদন দেওয়া হয়।