সারি সারি ফল-খাবারের ঝুড়ি, ইচ্ছেমতো তুলে নিচ্ছেন ভারতফেরত যাত্রীরা

যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ফল ও শুকনো খাবারের ঝুড়ি এবং বিশুদ্ধ পানির বোতল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দেশে ফেরা ভারতফেরত যাত্রীরা এখান থেকে বিনা মূল্যে ইচ্ছেমতো এসব খাবার সংগ্রহ করছেন। সোমবার দুপুরে
ছবি: মনিরুল ইসলাম

যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ঝুড়িতে আপেল-কলার ঝুড়ি সারি সারি সাজানো। শুকনা খাবার ও পানির বোতলও রয়েছে। ভারত থেকে দেশে ফেরা যাত্রীরা কোনো মূল্য ছাড়াই সেখান থেকে এসব খাবার ইচ্ছেমতো সংগ্রহ করছেন।

যশোর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারতফেরত যাত্রীদের জন্য আজ সোমবার থেকে ইমিগ্রেশনে বিনা মূল্যে ফল, পানি ও শুকনা খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশে ফেরা ক্লান্ত যাত্রীরা এমন আয়োজন দেখে ভীষণ খুশি। যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, মানুষ অনেক ক্লান্ত–পরিশ্রান্ত হয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরেন। তাঁদের একটু প্রশান্তি দেওয়ার জন্য ইমিগ্রেশনে ফল, শুকনা খাবার ও পানি রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকবে।

ইমিগ্রেশনের ভেতরে যাত্রীদের চলাচলের রাস্তার পাশে সুন্দর একটি স্থানে আপেল, কলা, কেক, চকলেট, বিস্কুট ঝুড়িতে করে সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানির বোতলও রয়েছে। পাশে একটা প্ল্যাকার্ড লেখা আছে, ‘অপেক্ষারত যাত্রীগণ, আপনার প্রয়োজন অনুসারে টেবিল থেকে খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করুন। আয়োজনে—জেলা প্রশাসন, যশোর।’ প্রয়োজনমতো যাত্রীরা সেখান থেকে খাবার তুলে নেন।

যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ফল ও শুকনো খাবারের ঝুড়ি এবং বিশুদ্ধ পানির বোতল সাজিয়ে রাখা হয়েছে
ছবি: মনিরুল ইসলাম

ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফেরা পরিমল চক্রবর্তী বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে ইমিগ্রেশনে সুন্দর একটা জায়গায় কলা, আপেল, বিস্কুট, পানির বোতল দেখে খুবই ভালো লাগল। সেখান থেকে আমরা প্রয়োজনমতো খাবার নিয়েছি। খুবই ভালো লেগেছে আজকের পরিবেশ।’ সঞ্জয় মুখার্জি নামের আরেকজন যাত্রী বলেন, ‘ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ফল ও পানি রেখে যশোর জেলা প্রশাসন নান্দনিক উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা সবাই পানি ও ফলের ঝুড়ি থেকে খাবার নিয়েছি। এ আয়োজন যেন অব্যাহত থাকে।’

বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেনাপোল দিয়ে ৬৬ জন যাত্রী ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন। তাঁদের বেনাপোল ও যশোর শহরের আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বর্তমানে যশোরে এক হাজার ভারতফেরত মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।