বেলকুচিতে এক দিনে দুটি বাল্যবিবাহ বন্ধ

প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুটি বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব বিয়ে বন্ধ করেন। এতে অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই কিশোরী ও এক কিশোর বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেয়েছে। ওই তিনজনই স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথম বাল্যবিয়েটি বন্ধ হয় গতকাল বেলা তিনটার দিকে। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এই বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৪)। বর (২২) ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

রাত আটটার দিকে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে একই ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এ গ্রামে বরের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। বর স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র (১৭)। কনে অপর একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী (১৭)।

দুটি বিয়েতেই কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও একটিতে বরও অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অভিভাবকদের বোঝানো হলে তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পারেন।

দুটি বিয়েতেই কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও একটিতে বরও অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অভিভাবকদের বোঝানো হলে তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পারেন। এ সময় অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলেমেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা দেন। বাল্যবিয়ে দুটি বন্ধে সহযোগিতা করেন রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছনিয়া সবুর আকন্দ, ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার মো. হাফিজ উদ্দিন ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

অভিযানের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, বেলকুচি উপজেলাকে বাল্যবিয়েমুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ জন্য তিনি সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। বেলকুচি উপজেলায় গত সাড়ে চার মাসে ৬৯টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বাল্যবিয়ে বন্ধে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।