বেলাব উপজেলা পরিষদ: চেয়ারম্যানের পদ থেকে সমসের জামানকে অপসারণ

সমসের জামান ভূঁইয়া
সংগৃহীত

নরসিংদীর বেলাব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে মোহাম্মদ সমসের জামান ভূঁইয়াকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। দুই ভাইস চেয়ারম্যানের সম্মানী, ভ্রমণ ও আপ্যায়ন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সামছুল হক স্বাক্ষরিত এক আদেশে সমসের জামান ভূঁইয়াকে অপসারণের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বেলাব উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তারের সম্মানী, ভ্রমণ ও আপ্যায়ন ভাতা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সমসের জামান ভূঁইয়া। এসব ভাতার মোট ৭৪ হাজার ৩৬৬ টাকা পাঁচটি চেকের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে উত্তোলন করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ ও সংশোধিত উপজেলা পরিষদ আইন ২০১১–এর ১৩(১)(গ) ধারা লঙ্ঘিত হওয়ায় জনস্বার্থে মোহাম্মদ সমসের জামান ভূঁইয়াকে তাঁর স্বীয় পদ থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনার ঢাকার তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় আইনটির ১৩(২) ধারা এবং উপজেলা পরিষদ সদস্য ও মহিলা সদস্য (অপসারণ, অনাস্থা ও পদশূন্যতা) বিধিমালা ২০১৬ মোতাবেক তাঁকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলো। একই সঙ্গে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ভূঁইয়াকে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের মার্চে সমসের জামান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে সম্মানী, আপ্যায়ন ও ভ্রমণ ভাতা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার। এরপর ৩ ডিসেম্বর নরসিংদীর সার্কিট হাউসে গিয়ে এসব অভিযোগের তদন্ত করেন ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার খান মো. নুরুল আমিন।

এ বিষয়ে সমসের জামান ভূঁইয়া মুঠোফোনে বলেন, ‘দুই ভাইস চেয়ারম্যানের সম্মতি নিয়েই তাঁদের চেক দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছিলাম। ওই টাকা সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে স্থানীয় একটি মাজারের ওরসে ব্যয় করেছি। পরে তাঁরা ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমি তা ফেরত দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাঁরা তা নেননি। রাজনৈতিকভাবে আমাকে অপদস্থ করার জন্যই তাঁরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।’