বেহাল মহাসড়কে ধুলার দৌরাত্ম্য, ধুঁকছে সবাই

ময়মনসিংহ থেকে শম্ভুগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এ মহাসড়কে যান চলাচলের সময় ধুলা উড়তে থাকে। সারা সড়কে খানাখন্দ। এতে সবাই ভোগান্তি পোহান।

ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ধুলাবালুর কারণে যানবাহনের যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহান। সম্প্রতি ময়মনসিংহ নগরের চরকালীবাড়ি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

সারা সড়কে খানাখন্দ। ধুলাবালুতে একাকার। সড়কের পাশে গাছপালার পাতা ও ডালপালায় ধুলার পুরো আস্তরণ। যানবাহন চলাচলের সময় ধুলাবালু উড়ে যাত্রী ও পথচারীদের নাক ও মুখে ঢুকে পড়ে। এতে অনেকের শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এ দুরবস্থা ময়মনসিংহ থেকে শম্ভুগঞ্জ বাজার মহাসড়কের।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার বাস চলাচল করে। এ ছাড়া ওই সব জেলা থেকে ঢাকাগামী বাসসহ সব ধরনের যানবাহন এ পথ দিয়ে চলাচল করে। শম্ভুগঞ্জ বাজার থেকে পৃথক তিনটি মহাসড়ক শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ গেছে। যে কারণে ময়মনসিংহ থেকে শম্ভুগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কটিতে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। সড়কটি বেহাল থাকায় দীর্ঘ তিন বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। সড়কের পিচঢালাই উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

বেহাল সড়কের এ অংশ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীন। সওজের ময়মনসিংহ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রায় চার কিলোমিটার এ সড়ক সংস্কার করে চার লেনে উন্নীত করার কথা। গত বছরের মে মাসে এ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরে ৯৩ কোটি টাকায় এ কাজ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। কিন্তু কাজ শুরুর আগে অপর একটি উন্নয়নকাজে অনিয়মের কারণে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়া হয়। পরে আবার দরপত্র আহ্বান করে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। বর্তমানে ওই প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আছে।

সওজের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘সড়কটিতে মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আমরা দ্রুত সংস্কার করা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ঠিকাদারসংক্রান্ত জটিলতার কারণে সেটি

পিছিয়ে পড়ে। আশা করছি এবার দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু হবে।’

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ময়মনসিংহ থেকে শম্ভুগঞ্জ পর্যন্ত সড়কজুড়ে খানাখন্দ। ওই সব খানাখন্দে প্রচুর ধুলাবালু। বাস ও ট্রাক চলার সময় সড়কের চারপাশ ধুলায় ধূসর হয়ে যায়। খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলে হেলেদুলে।

এ সড়কের কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস ও ইজিবাইকের চালক জানান, নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই সড়কে ধুলা জমতে শুরু করে। ফেব্রুয়ারি থেকে সড়কে ধুলা বেড়ে যায়। ওই মাস থেকেই ধুলাবালুর কারণে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল ব্যাহত হয়।