বোয়ালমারীতে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টায় মামলা

প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৬) অপহরণ করে পাচারচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার জয়নগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল মুন্সী বাদী হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলাটি করেন। এজাহারে ওই কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন জয়নগর গ্রামের নাসির বিশ্বাস (৩৫), একই গ্রামের নজরুল শেখ (৩৫), কেশরাইল গ্রামের মাসুম বিশ্বাস (৪০), কানখরদি গ্রামের সোহাগ মল্লিক (২২)। আসামিরা সবাই উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পুলিশ এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি নাসির বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে।

এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ১১টার দিকে নাসির বিশ্বাস, নজরুল শেখ, মাসুম বিশ্বাস, সোহাগ মল্লিক ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর থেকে ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে তুলে ধর্ষণ ও পাচারের উদ্দেশ্যে এনে মো. হিরু মুন্সীর মালিকানাধীন করাতকলে আটকে রাখেন। এলাকাবাসী সূত্রে এ গোপন সংবাদ পেয়ে জয়নগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম মুন্সীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই করাতকলে অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ নাসির বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আজ প্রথম আলোর শেষ পাতায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি পৃথক ধারায় যুক্ত করা হয়নি। তবে এজাহারে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার নাসির বিশ্বাসকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শুধু মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলার বিষয়ে এসআই মো. নজরুল ইসলাম মুন্সী বলেন, প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য উদ্ধার বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ফরিদপুর সরকারি বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে নিয়ে ইশারা ভাষার মাধ্যমে তার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়। ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়নি বলে কিশোরীর মাধ্যমে জানা গেছে। তিনি বলেন, এ কারণে ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি পৃথক ধারায় যুক্ত করা হয়নি। তবে এজাহারে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।