ব্যবসার জন্য টাকা পেয়েছেন, থাকার জন্য ঘরও পাবেন ইদ্রিস

ব্যবসার জন্য ইদ্রিস মিয়াকে নগদ টাকা তুলে দিচ্ছেন সাংসদ আলী আজম
প্রথম আলো

আর রিকশার প্যাডেল মেরে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে না ৮৩ বছরের ইদ্রিস মিয়াকে। ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুল বৃদ্ধের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁকে ব্যবসা করার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে, থাকার জন্য একটি ঘরও দেওয়া হবে ইদ্রিস মিয়াকে।
১৯ অক্টোবর প্রথম আলোতে ‘৮৩ বছর বয়সেও রিকশার প্যাডেল মেরে ভাত-রুটি’ শিরোনামে খবর প্রকাশের পরে তাঁর পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেন সাংসদ আলী আজম। এরপর বৃহস্পতিবার দৌলতখান উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংসদ আলী আজম ব্যবসার জন্য ইদ্রিস মিয়ার হাতে ৫০ হাজার টাকা, নতুন পোশাক তুলে দেন।
ইদ্রিস মিয়ার জন্ম ১৯৩৭ সালে। ৮৩ বছর বয়সে প্রতিদিন তিনি ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতার বাড়ি থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার রিকশার প্যাডেল চেপে ভোলা শহরে পৌঁছান। শহরে কম দূরত্বের কোনো রুটে রিকশা চালিয়ে এক–দেড় শ টাকা আয় করেন। বিকেলের দিকে সংসার চালানোর মতো আয় হলে বাজার করে বাড়িতে ফেরেন। দুজনের সংসার। স্ত্রীও বৃদ্ধ। বয়সের ভারে ন্যুব্জ। নাম হাজেরা বিবি। ইদ্রিস মিয়া ভাঙনকবলিত। নিজের বাড়ি নেই। চরপাতা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শ্বশুরের জমিতে ঘর তুলে বসত করছেন। ইদ্রিস মিয়ার এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলেমেয়েরা ঢাকায় থাকেন।

ভোলা-২ আসনের সাংসদের একান্ত সহকারী মহিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি ইদ্রিস মিয়াকে নিয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরটি সাংসদের নজরে আসে। সাংসদ তাঁকে (একান্ত সহকারীকে) গত বৃহস্পতিবার ইদ্রিস মিয়ার বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেন। ইদ্রিস মিয়া ও তাঁর স্ত্রী হাজেরা বিবির যাবতীয় খোঁজখবর নেন। রিকশা চালানো বাদ দিয়ে আরামে বসে একটি ব্যবসা করতে পারেন, সাংসদ সেই ব্যবস্থা করেছেন। ইদ্রিস মিয়াকে নতুন পোশাক কিনে দিয়েছেন। ইদ্রিস মিয়ার স্ত্রী বিবি হাজেরার জন্য নতুন শাড়ি কিনে দিয়েছেন। ব্যবসা করার জন্য দিয়েছেন নগদ ৫০ হাজার টাকা। একান্ত সহকারী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার থেকে ইদ্রিস মিয়াকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সাংসদ।
সাংসদ আলী আজম বলেন, দরিদ্রতা আর প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা রিকশাচালক ইদ্রিস মিয়াকে (৮৩) আর কষ্ট করে রিকশার প্যাডেল ঘোরাতে হবে না। স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে যতটুকু দরকার, ততটুকুই ব্যবস্থা করা হবে। তাঁর বাসস্থান ও বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।