ব্যবসায়ীর গুদামে ওএমএসের ১৭০০ কেজি চাল

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় এক চাল ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে খোলাবাজারে বিক্রির জন্য বরাদ্দ দেওয়া ওএমএস কর্মসূচির ১ হাজার ৭০০ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পৌরসভাসংলগ্ন ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের গুদামে অভিযান চালিয়ে এ চাল উদ্ধার করেন। অভিযানের সময় ওই ব্যবসায়ী সেখানে ছিলেন না। পরে জব্দ করা চাল উপজেলা খাদ্য বিভাগের জিম্মায় দেওয়া হয়।

নন্দীগ্রাম উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) আশরাফুল আরেফিন জানান, এ ঘটনায় খাদ্য বিভাগের এক পরিদর্শক বাদী হয়ে ব্যবসায়ী আবুল কালামের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন।

বেশি হাসিল নেওয়ায় জরিমানা
অন্যদিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপসুলতানগঞ্জ গরুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতা—উভয়ের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো হাসিল আদায় করায় ইজারাদারের নিয়োজিত দুই টোল আদায়কারীকে আটক করে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবু তাহির এ অর্থদণ্ড দেন।

অর্থদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন হাটের টোল আদায়কারী আমজাদ হোসেন ও মোখলেছার রহমান।

জানা গেছে, ধাপসুলতানগঞ্জ হাটের ইজারাদার বগুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা মোটরমালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। ইজারাদারের নিয়োজিত টোল আদায়কারীরা গবাদিপশু বেচাবিক্রির পর ক্রেতা ও বিক্রেতা—উভয়ের কাছে এক থেকে দেড় হাজার টাকা হাসিল আদায় করছেন।

অভিযোগ পেয়ে দুপচাঁচিয়ার ইউএনও আবু তাহির হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে টোল আদায়কারী আমজাদ ও মোখলেছারকে পৃথকভাবে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।