বিজয়নগরে নছিমন–বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত

প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নছিমনও যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নছিমনের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত সাতটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার রামপুরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে বিকেলের দিকে জামালপুর সদরে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন নছিমনের যাত্রী বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর এলাকার মৃত সাহেদুল ইসলামের ছেলে আক্তার হোসেন (৫০), একই উপজেলার চরইসলামপুর এলাকার সোলায়মান মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া (৬০) এবং রামপুরা এলাকার হাবিবুল্লাহ মিয়ার ছেলে নসিমনের চালক শরীয়ত উল্লাহ (৩০)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন এবং জামালপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন।

সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা-পুলিশ ও বিজয়নগর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত সাতটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার রামপুরা এলাকার যমুনা ব্রিকস ফিল্ডের সামনে টিনবাহী নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নছিমনের চালক শরীয়ত উল্লাহ এবং দুই আরোহী আক্তার হোসেন ও রমজান নিহত হন। দুর্ঘটনার খবর শুনে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ও বিজয়নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে। পরে তাঁদের লাশ সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায় হাইওয়ে পুলিশ। সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান ও বিজয়নগর থানার ওসি আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে জামালপুর সদরে বুধবার বিকেল চারটার দিকে মোটরসাইকেলের পেছন থেকে পড়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম (৫৩) গুরুতর আহত হন। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। উপজেলার শরিফপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আফরোজা বেগম জামালপুর সদর উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে প্রায় চার বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। তাঁর জন্মস্থান গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায়। তবে বাস করতেন ঢাকার খিলগাঁও এলাকায়। তাঁর স্বামীর নাম মো. মজিবর রহমান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম বুধবার দুপুরের দিকে একটি নিয়োগসংক্রান্ত ব্যাপারে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাডেমিক সুপারভাইজার হারদার আলীর মোটরসাইকেলে করে নান্দিনা এলাকায় যান। সেখান থেকে বিকেলে ফেরার পথে শরিফপুর এলাকায় তিনি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি মারা যান।

এ খবর পেয়ে জামালপুর সদর ইউএনও ফরিদা ইয়াছমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা বেগমসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কর্মকর্তা হাসপাতালে উপস্থিত হন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

জামালপুর সদর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম খান বলেন, তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ফলে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের পর এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জামালপুর সদর ইউএনও ফরিদা ইয়াছমিন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত আফরোজা বেগমের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।