ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন
সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনায় অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে জেলা কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বিল্লাল হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে সদর মডেল থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বিল্লাল শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজে বিল্লাল হোসেনকে দেখা গেছে। আজ বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেহেতু একাধিক জায়গার ভিডিও ফুটেজে তাঁকে দেখা গেছে, তাই একাধিক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজে বিল্লাল হোসেনকে দেখা গেছে। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন জানান, ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় হেফাজতের অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিল্লাল। তাঁকে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর এবং ওই সফরকে ঘিরে ঢাকার বায়তুল মোকাররম ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার বিক্ষোভে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা চালান হেফাজতে ইসলামের নেতা ও কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এসব ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল, আশুগঞ্জ ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ৫৬টি মামলা করেছে পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর কর্তৃপক্ষ। এ মামলাগুলোতে আজ বিকেল পর্যন্ত ৪১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।