ব্রাহ্মণবাড়িয়া নৌকার মিছিলে ককটেল হামলা, আহত ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ম্যাপ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থীর মিছিলে ককটেল হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ছাত্রলীগের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে জেলা শহরের মেড্ডা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা চলছে।

আহত ছাত্রলীগের দুই সদস্য হলেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. রাব্বি ও শহর ছাত্রলীগের নেতা মো. সাব্বির।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নৌকার পক্ষে ওই মিছিলে ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাত আটটার দিকে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের নিয়ে একটি মিছিল নিয়ে শহরের মেড্ডা বাজার এলাকায় পৌঁছান তাঁরা। সে সময় মিছিলকে উদ্দেশ্য করে ককটেল হামলা চালানো হয়। মাসুমের দাবি, মুঠোফোন প্রতীকের প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) মাহমুদুল হক ভূঁইয়ার কর্মীরা ককটেল নিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন। এতে ছাত্রলীগের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূঁইয়া সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। নৌকা মার্কার বিপক্ষে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে মাহমুদুলকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে ভাবা হচ্ছে।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মাহমুদুল হক ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কোনো কর্মী এই ধরনের কাজ করেনি। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ভয়ে আমি নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারছি না। বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে দোষ চাপানো হচ্ছে।’

আগামী রোববার পঞ্চম দফায় ৩০টি পৌরসভায় নির্বাচন হবে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাও রয়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র নায়ার কবির, বিএনপির প্রার্থী জহিরুল হক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল মালেক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক ভূঁইয়া ও আবদুল কারীম।

ককটেল হামলার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেখানে মিছিলকে লক্ষ্য করে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই এই ককটেল হামলা হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।’