ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকা না দিয়ে পিটিয়ে খুন, দম্পতি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় পাওনা টাকা নিতে চাইতে গিয়ে ছোট্ট মিয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত ছোট্ট মিয়া কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের চারুয়া গ্রামের মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে। তাঁর তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের চারুয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সেলিম মিয়া (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী পারভিন আক্তার (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেলিম মিয়ার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ১০–১২ দিন আগে একই গ্রামের ছোট্ট মিয়ার কাছ থেকে ৪৩ হাজার টাকা ধার নেন। শুক্রবার সকালে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। ছোট্ট মিয়া আজ সকালে সেলিম মিয়ার বাড়িতে সেই টাকা ফেরত আনতে গেলে সেলিম টাকা দেননি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেলিম মিয়া ও তাঁর স্ত্রী পারভিন ছোট্ট মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিরা ছোট্ট মিয়াকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মেয়ে লাভলী আক্তার বলেন, তাঁর বাবার কাছ থেকে সেলিম মিয়া ৪৩ হাজার টাকা ধার নিয়েছেন। তাঁর বাবা অন্য একজনের কাছ থেকে টাকা এনে সেলিম মিয়াকে ধার দিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি বাবার কাছে টাকা ফেরত চাচ্ছেন। আজ শুক্রবার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। ওই টাকা ফেরত চাইতে গেলে সেলিম মিয়া ও তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। তিনি তাঁর বাবাকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহত ছোট্ট মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে লাভলী আক্তার বাদী হয়ে সেলিম মিয়া ও তাঁর স্ত্রী পারভিন আক্তারকে আসামি করে শুক্রবার দুপুরে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ দুপুরেই চারুয়া গ্রাম থেকে সেলিম মিয়া ও তাঁর স্ত্রী পারভিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার সকালে তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।