ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ৩

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের ভাষ্য, তাঁরা হেফাজতের কর্মী-সমর্থক। এসব ঘটনায় হওয়া মামলায় এখন পর্যন্ত আড়াই মাসে ৫৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫৬৬ জনের মধ্যে ২৮ জন হেফাজত নেতা, ৪৮০ জন হেফাজতের কর্মী-সমর্থক, ৫৬ জন বিএনপির নেতা-কর্মী ও ২ জন জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মী।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আশুগঞ্জ চরচাতলার বাসিন্দা ইমন মিয়া ওরফে আরিফ (২২), একই গ্রামের শাহিদুল ইসলাম (১৯) ও আশুগঞ্জ উপজেলার কামাউড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলাম (২৯)। তাঁদের গত ২৮ মার্চ আশুগঞ্জ গোলচত্বর, রেলগেটসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। জেলাজুড়ে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকেরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান। জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি সবাই অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী। ৫৬টির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা হয়।

গত ২৬ ও ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ও সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত হন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, গতকাল বিভিন্ন স্থানে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হেফাজতের কর্মী-সমর্থক।