ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার মামলায় খেলাফত নেতাসহ গ্রেপ্তার আরও ১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি আবু তাহেরসহ আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের ভাষ্য, তাঁরা হেফাজতের কর্মী-সমর্থক।

এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত  ৪৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। জেলাজুড়ে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকেরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান।

জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি সবাই অজ্ঞাতনামা। ৫৬টির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা হয়। সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা শুরু করেছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা সদর, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ২৭ মার্চ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সরাইলের অরুয়াইল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পটি ঘেরাও করা হয়। ক্যাম্পের সামনের ফটক ভেঙে ফেলে অস্ত্রগুলো লুটসহ সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। এসবের সঙ্গে সরাইল খেলাফত মজলিসের সভাপতি আবু তাহের সম্পৃক্ত ছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রইছ উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন স্থানে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হেফাজতের কর্মী-সমর্থক।