ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় আরও দুজন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, তাঁরা হেফাজতের কর্মী। এসব ঘটনায় হওয়া মামলায় গত ২ মাস ১৫ দিনে ৫৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ৫৫৭ জনের মধ্যে ২৭ জন হেফাজত নেতা, ৪৭৫ জন হেফাজতের কর্মী-সমর্থক, ৫৬ জন বিএনপির নেতা-কর্মী ও ২ জন জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মী।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্টাপাড়া হেফাজত কর্মী আবদুল আজিম (২০) ও আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের রাজিব ওরফে নাকিবুল্লাহ (৩৩)। আবদুল আজিমকে গত ২৮ মার্চ বিশ্বরোডে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় হামলা এবং রাজিবকে একই দিন আশুগঞ্জ গোলচত্বর ও রেলগেটসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবরোধ-ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। জেলাজুড়ে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকেরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালান। জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি সবাই অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী। ৫৬টির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা হয়।

গত ২৬ ও ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ও সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত হন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, গতকাল পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।