ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় জড়িত অভিযোগে হেফাজতের ২০ কর্মী গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিরোধী বিক্ষোভ শেষে অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ মাঠে সমাবেশ হয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। গত ২৭ মার্চ বিকেলে তোলা
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের ২০ কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসব ঘটনায় হওয়া মামলায় এখন পর্যন্ত ১০৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে হেফাজতের ৬৬ জন, বিএনপির ৩৭ জন ও জামায়াত-শিবিরের ৩ জন আছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। জেলাজুড়েই হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৩৮ হাজারের বেশি আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৮৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকি সবাই অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী।

৪৯টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৩টি, আশুগঞ্জ থানায় ৩টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হেফাজতের ২০ কর্মী–সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর ২৮৮ জন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে সদর থানার ৪৩টি মামলায় ১৭২ জন, সরাইল থানার দুটি মামলায় ৭৩ জন ও আশুগঞ্জ থানার তিনটি মামলায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারনামীয় ২৮৮ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রইছ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের একটি বিশেষ দল ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা সবাই হেফাজতের কর্মী-সমর্থক।