ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের দুই নেতার বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এজাহারটি মামলা হিসেবে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে সদর থানায় এটি রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে এই এজাহার জমা দেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

এজাহারে হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা কমিটির সহসভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান ও সহসাধারণ সম্পাদক মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযুক্ত অপর ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কে দাস মোড়ের বাসিন্দা সানাউল হক চৌধুরী (৫৫)। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা কমিটির সহসভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান ও সহসাধারণ সম্পাদক মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসানসহ অভিযুক্তরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের সহিংসতায় প্রত্যক্ষ মদদদাতা। গত ৩০ এপ্রিল মাওলানা মেহেদী হাসান তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য একটি পোস্ট দেন। মেহেদী তাঁর সেই পোস্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় হামলাকারী উল্লেখ করে তাঁর ফাঁসি দাবি করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অভিপ্রায়ে বাকি দুই আসামি মেহেদীর ওই পোস্ট প্রচার করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন।

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারকুল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেওয়ার জন্য সদর থানায় এজাহার জমা দেন সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী। হেফাজতের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। তবে এজাহারটি মামলা হিসেবে এখনো রেকর্ড হয়নি। এজাহারে উল্লিখিত ফেসবুক পেজ ও আইডির লিংকগুলো পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার কাছে চিঠি দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা-পুলিশ।

নবীনগর উপজেলা হেফাজতের সহসভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার নামে কেউ একজন ফেসবুকে একটি আইডি খুলে ওই পোস্ট দিয়েছে। গত তিন-চার দিন আগে বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে। আমি ওই মন্তব্য করিনি। সেটা আমার আইডি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে হেফাজতের হরতালের দিন ৪১টি নৌকায় করে আমি শহরে গিয়ে সহিংসতায় অংশ নিয়েছি। কিন্তু তা সত্য নয়। আমি হেফাজতের হরতালের দিন নবীনগরে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করেছি।’