বড়াইগ্রামে আ.লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে দোকান দখল করে লুটপাটের অভিযোগে মামলা

দোকানটির সামনে বালু ফেলে দখল করে লুটপাটের অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী রত্না পারভীনসহ ২০ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক রত্না খাতুনের বিরুদ্ধে দোকান দখল করে লুটপাট করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে বড়াইগ্রাম থানায় মামলাটি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আতিক শাহরিয়ার। উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের বাগডোব বাজারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই লুটপাটের ঘটনাটি ঘটে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাগডোব বাজারের মেসার্স আতিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক আতিক শাহরিয়ার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দোকান খোলা রেখে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যান। এই ফাঁকে আওয়ামী লীগ নেত্রী রত্না পারভীন ও তাঁর স্বামী মিলন আকন্দ ১৫ থেকে ২০ জনের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে দোকানে ঢুকে নগদ দেড় লাখ টাকা ও মালামাল লুট করেন। একই সঙ্গে দোকানে ভাঙচুর চালান। দোকানের সামনে ইট, বালু ফেলে দোকানের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেন। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী কবির উদ্দীন, কাউছার আলী ও রাশফুল ইসলাম বাধা দিলে তাঁদের তাড়া করা হয়। একপর্যায়ে কাউছার ও রাশফুলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তাঁরা।

এ ঘটনায় রত্না পারভীনসহ ২০ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন দোকানের মালিক আতিক শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ‘রত্না পারভীনের সঙ্গে দোকানের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। আমার বৈধ জমিতে ঘর করে ব্যবসা করছি। শুনেছি তাঁর কিছু জমি রাস্তার মধ্যে আছে। তিনি রাস্তা দখল করতে না পেরে জোর করে আমার জমি দখল করার পাঁয়তারা করছেন।’ তিনি আরও বলেন, জমির বিরোধ আদালতে মীমাংসা হবে। তাই বলে তিনি ক্ষমতার জোরে তাঁর দোকান দখল করে লুটপাট করতে পারেন না।

রত্নার স্বামী মিলন আকন্দ বলেন, তাঁর স্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। কারও দোকানে লুটপাট করা হয়নি। তবে আতিক শাহরিয়ারের দোকানের মধ্যে তাঁদের কিছু জমি রয়েছে। তিনি তা ছাড়ছেন না। এ নিয়ে বিরোধ চলছে।

বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিন আলী বলেন, ‘আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে এটা নিয়ে কী হয়েছে, তা দেখিনি।’

বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম।