ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ল্যাবে, ছয় দিন ধরে করোনার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ

করোনাভাইরাস পরীক্ষা
প্রতীকী ছবি

ল্যাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত কার্যক্রম ছয় দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন করোনার উপসর্গ থাকা নমুনা দেওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনেরা।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল আজাদ আজ শনিবার বিকেলে নমুনা পরীক্ষা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ১৭ এপ্রিল মেশিন আনা হয়। ২৬ এপ্রিল ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হয়। ২৯ এপ্রিল থেকে একটি পিসিআর যন্ত্রে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। পরে আরও একটি যন্ত্র যুক্ত করা হয়। এরপর দুটি যন্ত্র দিয়ে নমুনা পরীক্ষা চলে। গত ৩০ নভেম্বর থেকে ওই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ফলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় কোনো পরীক্ষার ফল পাচ্ছে না। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামের ল্যাব থেকে কিছু নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাঠানো হয়। তা-ও বিদেশগামী যাত্রীদের। এ অবস্থায় অন্য রোগীরা ভোগান্তিতে রয়েছেন।

গত ২৯ নভেম্বর নমুনা দিয়েছি, এখনো নমুনার ফল পাইনি।
মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক), কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৯ নভেম্বর নমুনা দিয়েছি, এখনো নমুনার ফল পাইনি।’

জেলার করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর থেকে আমরা কোনো নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাচ্ছি না। ল্যাবে সমস্যা থাকায় ফল পাচ্ছি না। আমরা চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলায় কিছু নমুনা পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে কিছু পরীক্ষার ফল এসেছে। এর বেশির ভাগই প্রবাসীদের।’

গত ৩০ নভেম্বর থেকে ল্যাবে সমস্যা দেখা দেয়। ল্যাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। এখন ঢাকা থেকে লোকজন এসে এটি ঠিক করবেন।
মোস্তফা কামাল আজাদ, অধ্যক্ষ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ

কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রোকসানা বেগম বলেন, ‘ল্যাবে যেসব সমস্যা হয়েছে, তা অধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে চাই না।’

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল আজাদ বলেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর থেকে ল্যাবে সমস্যা দেখা দেয়। ল্যাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। এখন ঢাকা থেকে লোকজন এসে এটি ঠিক করবেন।’