ভাঙ্গা থানায় হামলা মামলায় হেফাজত নেতা আবুল হুসাইনের রিমান্ড

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুরে ভাঙ্গা থানায় হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা মো. আবুল হুসাইনের (৬৪) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ওই হেফাজত নেতা বর্তমানে ভাঙ্গা থানার পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে আছেন।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভাঙ্গা থানার পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবুল হুসাইনকে ফরিদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। রিমান্ডের শুনানি শেষে ওই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক হোসাইন তাঁর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তাঁকে আদালত থেকে সরাসরি ভাঙ্গা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গতকালই তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

মো. আবুল হুসাইন ফরিদপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক কমিটির সহসভাপতি। তিনি ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মোল্লাবাড়ির কলোনি জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত। গতকাল ভোরে আবুল হুসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২৭ মার্চ বেলা সোয়া দুইটার দিকে ভাঙ্গা থানায় হেফাজতে ইসলামসহ সমমনা দলগুলোর কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে থানার প্রধান ফটকসহ থানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এ হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন। এই হামলার ঘটনায় আহত ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩০০ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার আসামি হিসেবে মো. আবুল হুসাইনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলেন, ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ সফরের পর ভিআইপিরা যাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নির্বিঘ্নে ঢাকায় ফিরতে না পারেন, সে জন্য ভাঙ্গা থানায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। হেফাজতে ইসলাম ও চরমোনাইয়ের অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। মামলার তদন্তের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় জেলা হেফাজতের নেতা মো. আবুল হুসাইনকে।