ভাঙ্গায় ডাকাত দলের ৯ সদস্য ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডাকাতদের কাছে থেকে স্বর্ণ কেনায় এক ব্যবসায়ীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ এসব তথ্য জানায়।

সকালে ভাঙ্গা থানা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা। উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের ছোট ও বড় হামিরদী গ্রামে ১৩ ও ১৭ ডিসেম্বর ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সম্মেলনে জামাল পাশা বলেন, পুলিশ কিছুদিন আগে ডাকাতি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চুন্নু মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করে। পরে চুন্নু ফরিদপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভাঙ্গা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতদের কাছ থেকে চার ভরি আট আনা গলিত স্বর্ণ, একটি স্বর্ণের চেইন, ৭টি মুঠোফোন, ১টি করে ল্যাপটপ, ট্যাব ও নগদ ৫৪ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম পলাশ কর (২৮)। তিনি ঢাকার মিরপুর-১১–তে অবস্থিত পলাশ জুয়েলার্সের মালিক।

ডাকাত সদস্যরা হলেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ধানজাইল গ্রামের ইসলাম মোল্লা (৫২), পদ্মবিল গ্রামের বেলায়েত শেখ (৩৫), সদর উপজেলার মাতলা গ্রামের ফরিদ খাঁ (৪২), মুকসুদপুর উপজেলার চরবাহাড়া গ্রামের সহিদুল শেখ (৩৩), ফরিদপুরের ভাঙ্গার ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের হাবিব মুন্সী (৪৫), মোশা ব্যাপারী (৪৫), বাররা গ্রামের সুজন সরদার (৩৯), সালথার ভলিভদ্রদী গ্রামের ওবায়দুর মাতুব্বর (২৬) এবং ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মেহেদীপুর গ্রামের বদিউল আলম (৫০)।

ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, ১৩ ডিসেম্বর রাতে ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়নের ছোট হামিরদী গ্রামে দেলোয়ার ফকিরের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই দিনই দেলোয়ার ফকির বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় ডাকাতির মামলা করেন। ওই মামলায় হামিরদী গ্রামের চুন্নু মাতুব্বর (৩৫) ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

১৭ ডিসেম্বর রাতে বড় হামিরদী গ্রামের কাজী ফাহাদ ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি হয়। ওই দিনই ভাঙ্গা থানায় আরেকটি ডাকাতির মামলা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুকসুদপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সহিদুল শেখের কাছ থেকে ১টি দেশি পিস্তল ও ৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ সকালে তাঁর নামে পুলিশ বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।