ভাতিজাকে হত্যার দায়ে চাচাসহ দুজনের ফাঁসি

প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ভাতিজাকে হত্যার অপরাধে চাচাসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান রোববার বিকেলে এই রায় দেন।

দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোনা গ্রামের গোগন প্রধানিয়া বাড়ির মুকবুল হোসেনের ছেলে মো. জামাল হোসেন ও একই গ্রামের মো. শহীদ উল্যাহর ছেলে মো. সজীব আলম। এ ঘটনায় হওয়া মামলার বাদী জামালের ছোট ভাই ও নিহত মো. মুহিবের বাবা মো. মাসুদ রানা। ঘটনার সময় তিনি প্রবাসে ছিলেন।

মুহিবের বাবা মাসুদ রানা বলেন, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে তাঁর ছেলে মুহিব স্কুলমাঠে খেলতে যায়। সন্ধ্যায় সে বাড়ি না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। ৪ ডিসেম্বর তাঁর স্ত্রী ও ভাই জামাল থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তাঁকে ঘটনাটি জানালে তিনি দেশে এসে ৯ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রথমে সজীবকে আটক করে। সজীব এ বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে মুহিবকে হত্যা করার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

এ ঘটনায় হওয়া মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর খেলার মাঠ থেকে মুহিবকে ধরে নিয়ে যান তাঁর চাচা জামাল ও তাঁর সহযোগী সজীব। তাঁরা তাকে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তাঁরা মুহিবের লাশ তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। এ বিষয়ে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহীম খলিল অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রনজিত কুমার রায় চৌধুরী ও সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মোক্তার আহম্মেদ এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, মো. মুরাদ হোসেন চৌধুরী ও মোহাম্মদ আলী।