ভান্ডারিয়ায় লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে প্রাণ গেল একজনের

পিরোজপুর জেলার মানচিত্র

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার কচা নদীতে ঢাকাগামী এমভি টিপু-১২ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে একজন মারা গেছেন। রোববার এই ঘটনা ঘটে। ট্রলারডুবির ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আবদুর রশিদ (৬৫)। তিনি নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা গ্রামের মৃত শমশের আলীর ছেলে।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ভান্ডারিয়া থেকে ঢাকাগামী এমভি টিপু-১২ লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যায়। কিছুদূর গিয়ে এমভি টিপু-১২ লঞ্চটি এমভি ফারহান-১০ লঞ্চের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করে। পোনা ও কচা নদীর মোহনায় পৌঁছালে এমভি টিপু-১২ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রলারে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা আবদুর রশিদ (৬৫) ও আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার (৬০) গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে আবদুল কুদ্দুস হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রশিদ মারা যান।
ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফাত হোসেন আবদুর রশিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা মাসুদ হোসেন বলেন, কাঁঠালিয়া উপজেলা সদরের বাজার থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা নিয়ে ট্রলারটি নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাঘাটায় যাচ্ছিল। পথে ভান্ডারিয়া উপজেলার কচা নদীতে এমভি টিপু-১২ লঞ্চটি ট্রলারের পেছনে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার সময় তিনি ও তাঁর ভাই সুমন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। ট্রলারে থাকা আবদুর রশিদ ও আবদুল কুদ্দুস গুরুতর আহত হন। ট্রলারটি ডুবে যায়।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’