ভারত থেকে আসা ৭ করোনা রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন

যশোর জেলার মানচিত্র

ভারত থেকে আসা সাতজন করোনা রোগী যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। ১৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল সময়ের মধ্যে তাঁরা বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় এই পালানোর বিষয়টি আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা সাতজন করোনা রোগীকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ১৮ এপ্রিল একজন, ২৩ এপ্রিল পাঁচজন ও ২৪ এপ্রিল একজন রোগী আসেন। তাঁদের জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তাঁরা ওয়ার্ডে না গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

পালিয়ে যাওয়া সাতজন হলেন যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার বিশ্বনাথ দত্তের স্ত্রী মণিমালা দত্ত (৪৯), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন (৩২), কালীগঞ্জ উপজেলার শেফালি রানী সরদার (৪০), রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনা সদর উপজেলার বিবেকানন্দ (৫২), পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আমিরুল সানা (৫২) ও রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার (১৭)।

পালিয়ে যাওয়া মিলন হোসেন আজ সোমবার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে কয়েক দিন আগে ভারতে গিয়েছিলাম। সেখানে টেস্ট করালে আমার করোনা ধরা পড়ে। ২৩ এপ্রিল সেখান থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফিরে আসি। ওই দিন আমাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ডাক্তারের ছাড়পত্র নিয়ে রাতে আমি বাড়ি চলে এসেছি। সেই থেকে আমি বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে আছি। আমার শরীর এখন ভালো।’

যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফ আহম্মেদ বলেন, ভারত থেকে আসা সাতজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। তাঁদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তির পর করোনা ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভর্তির টিকিট ওয়ার্ডে পৌঁছেছে, কিন্তু রোগীরা সেখানে যাননি। হাসপাতালে থাকতে হবে বলে সেখান থেকে তাঁরা পালিয়ে গেছেন। গতকাল রোববার বিষয়টি জানা গেছে।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ভারত থেকে আসা সাতজন করোনা পজিটিভ রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের পাসপোর্ট হাসপাতালের সিস্টারদের কাছে জমা থাকার কথা। কিন্তু সেটা ছিল না। কেন সেটা ছিল না এবং হাসপাতালের নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া রোগীদের ব্যাপারে নিজ নিজ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় বলেন, পালিয়ে যাওয়া সাত করোনা রোগীকে হাসপাতালে ফেরত আনা হচ্ছে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে তাঁরা চিকিৎসা নেবেন।