ভারতে আটকে থাকা ৩৮ নারী ও শিশু দেশে ফিরল

ভারতে আটকে থাকা ৩৮ জন নারী ও শিশুকে যশোরের বেনাপোল তল্লাশিচৌকি দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে আটকে থাকা ৩৮ জন নারী ও শিশুকে যশোরের বেনাপোল তল্লাশিচৌকি দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করে।

দেশে ফেরত আনার পর বোনপোল বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) মাধ্যমে তাঁদের বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির (বিএনডাব্লিউএলএ) কর্মকর্তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁদের পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ফেরত আনা ৩৮ জনের মধ্যে ৩৪ জন শিশু ও ৪ জন নারী রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কুড়িগ্রাম ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।
 
ইমিগ্রেশন পুলিশ ও জিম্মায় নেওয়া সংগঠনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এসব নারী ও শিশু ভারতে পাচার হয়ে যায়। পরে তাঁরা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হন। আটকের পর আদালতের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন নিরাপদ আশ্রয়ে (শেল্টার হোমে) তাঁদের রাখা হয়। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাঁদের ট্রাভেল পারমিট দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের দেশে ফেরত আনা হলো।

ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ জনকে রাইটস যশোর এবং অন্যদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও বিএনডাব্লিউএলএর কর্মকর্তাদের জিম্মায় দিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে রাইটস যশোরের তথ্যানুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান বলেন, দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে এসব নারী ও শিশু ভারতে পাচারের শিকার হয়। পরে ভারতের পুলিশের হাতে তারা আটক হয়। সে দেশের আদালত তাদের পশ্চিমবঙ্গের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শেল্টার হোমে পাঠান। ওই সব শেল্টার হোমে যোগাযোগ করে দুই দেশের মন্ত্রণালয়ের ট্রাভেল পারমিট নিয়ে তাদের দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ভারতে আটক ছিলেন বাংলাদেশি ৩৮ জন নারী ও শিশু। দুই দেশের ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বেনাপোল থানায় জিডির মাধ্যমে তাঁদের বেসরকারি তিনটি সংস্থার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।