ভারতে রপ্তানির সময় পার হওয়ায় চাতলাপুরে চার টন ইলিশ জব্দ

ইলিশ মাছ
ফাইল ছবি

মা ইলিশ সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে ইলিশ ধরা, পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সরকারি প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছে। এর মধ্যেই সোমবার সকালে ভারতে রপ্তানির সময় মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে চার মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়। বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পরিত্যক্ত দেখিয়ে ইলিশগুলো জব্দ করে।

ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় পাঠানোর জন্য নড়াইলের আরিফ সি ফুড লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ট্রাকে ইলিশগুলো মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে নিয়ে যায়।

জানা যায়, ১ অক্টোবর এই প্রথম চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়। ১ ও ২ অক্টোবর দুদিনে ভারতের কৈলা শহরে চার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়।

সোমবার সকালে আরিফ সি ফুডের মালিক আরিফ হোসেন ভারতের কৈলা শহরে রপ্তানির জন্য চার মেট্রিক টন ইলিশ নিয়ে যান। তার একটি স্থানীয় সিএনএফ এজেন্ট আগেই ৩ অক্টোবর রপ্তানির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সরকারি অনুমোদন নিয়েছিল। তবে সরকারি নির্দেশনা বলবৎ হওয়ার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর সোমবার সকালে ইলিশ নিয়ে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে যান আরিফ হোসেন। এ সময় চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ ট্রাকবোঝাই ইলিশ জব্দ করে।

কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম ইলিশ জব্দ করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই মাছ সিলেট কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাবে। ৩ অক্টোবর দিনের মধ্যে যদি এই মাছ চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে এসে পৌঁছাত, তা হলে বিধি অনুযায়ী ভারতে রপ্তানির সুযোগ ছিল।

ইলিশ জব্দ করল বিজিবি

জব্দ ইলিশ নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও আরিফ সি ফুডের লোকজনের মধ্যে আলোচনা চলে। বিকেলে মাছের মালিক পক্ষ, ট্রাকের চালক ও হেলপার শুল্ক স্টেশন এলাকা থেকে চলে যাওয়ার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পরিত্যক্ত দেখিয়ে ট্রাকসহ ৪ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করে। এ সময় চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের কর্মচারী নুরুল ইসলামের সই নেওয়া হয়।

শরীফপুর সীমান্ত ফাঁড়ির সুবেদার আলমগীর হোসেন এই ইলিশ জব্দ করেন। তিনি জানান,. উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।