ভালুকায় কৃষক লীগ নেতাসহ ৭ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদকসহ সাতজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আজ বুধবার ওই ব্যক্তিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ময়মনসিংহের ৮ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক ইমাম হাসান।

পরোয়ানাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ভালুকা উপজেলার কাদিগড় গ্রামের জাকির হোসেন (৩৩), রফিকুল ইসলাম হিরা (৫২), সাইদুল ইসলাম (৫৫), সাইফুল ইসলাম (৫৫), আবদুল করিম (৪০), মো. মোস্তফা (৩৫) এবং কাচিনা ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫ ও ৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য হাজেরা খাতুন (৪৫)।

মামলার বাদী ও নথি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাদিগড় মৌজার ৯ একর জমির পৈতৃক সূত্রে মালিক হলেন আতাউর রহমান, শামসুল হক, মোতাহার হোসেন ও সমর আলী। আতাউর ও শামসুল ২০০৪ সালে মারা যান। মৃত ওই দুজনসহ চারজনের নামে ভুয়া ওয়ারিশান সনদ ও আইডি কার্ড তৈরি করেন উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য হাজেরা খাতুনসহ আরও কয়েকজন। পরে তাঁরা স্থানীয় নায়েবের মাধ্যমে কৌশলে ৯ একর জমির ২১৬৮ ও ২১৬৯ নম্বরের দুটি নামজারি ও জমা খারিজ করেন। এরপর এসব কাগজপত্র দিয়ে ২০১৯ সালের ১৩ মে ঢাকার ম্যাক্স নাহার ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি কোম্পানির মালিক মাহমুদুর রহমান চৌধুরীর নামে ৯ একর জমির আমমোক্তারনামা ও বন্ধকি দলিল করেন ভালুকা সাবরেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। এই দলিল দুটির শনাক্তকারী ছিলেন দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম।

চারজনের নামে ভুয়া ওয়ারিশান সনদ ও আইডি কার্ড তৈরি করেন উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য হাজেরা খাতুনসহ আরও কয়েকজন।

কিছুদিন পর এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ঘটনা জানতে পারেন জমির প্রকৃত মালিক হাফিজুল ইসলাম। এরপর তিনি একই বছরের ১৫ অক্টোবর ১২ জনকে আসামি করে জালিয়াতিসহ আরও কয়েকটি ধারায় মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। পিবিআই তদন্তের পর ১২ জনের মধ্যে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী কবির হোসেন মণ্ডল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের পর ৮ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমাম হাসান সাতজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং দুজনের নামে সমন জারি করেছেন।