ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ৪৫ রোহিঙ্গা স্বর্ণদ্বীপে আটকা পড়েছে

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর থেকে নদীপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় নারী, শিশুসহ ৪৫ রোহিঙ্গা স্বর্ণদ্বীপে (জাহাজ্জারচর) আটকা পড়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়। দুই দিন আগে এসব রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় নৌকার মাঝি কৌশলে তাদের সেখানে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। স্বর্ণদ্বীপে আসার পর রোহিঙ্গা নারী-শিশুরা দুই দিন ধরে না খেয়ে আছে বলে জানা গেছে।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আজ সন্ধ্যায় জানানো হয়েছে, আজ দুপুরের দিকে ১৫ শিশুসহ ৪৫ রোহিঙ্গা স্বর্ণদ্বীপ এলাকায় অবস্থান করছে বলে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যায়। দুই দিন আগে তারা ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছিল। নদীপথে নৌকাযোগে দালালের মাধ্যমে পালানোর সময় নৌকার মাঝি রোহিঙ্গাদের কৌশলে স্বর্ণদ্বীপে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। এরপর দুই দিন ধরে রোহিঙ্গারা না খেয়ে স্বর্ণদ্বীপে অবস্থান করছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কোস্টগার্ডের একটি দলকে স্বর্ণদ্বীপে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যায় রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের একটি দল স্বর্ণদ্বীপ পৌঁছেছে। তবে সাগরে ভাটা থাকার কারণে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে আনতে যাওয়া ট্রলারটি স্বর্ণদ্বীপের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চরে আটকা পড়ে। রাত ১২টার পর জোয়ার এলে ট্রলারটির স্বর্ণদ্বীপে গিয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে ভাসানচর ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

নদীপথে নৌকাযোগে দালালের মাধ্যমে পালানোর সময় নৌকার মাঝি রোহিঙ্গাদের কৌশলে স্বর্ণদ্বীপে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। সেখানে রোহিঙ্গা নারী-শিশুরা দুই দিন ধরে না খেয়ে আছে বলে জানা গেছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, স্বর্ণদ্বীপ পুরোটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই দিন আগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় নৌকার মাঝি কৌশলে তাদের সেখানে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছেন। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে মঙ্গলবার তাদের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে ভাসানচর নিয়ে যাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।

ভাসানচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল দাস প্রথম আলোকে বলেন, স্বর্ণদ্বীপে রোহিঙ্গা আটকা পড়ার খবর পেয়ে ভাসানচর থেকে কোস্টগার্ডের একটি দল তাদের উদ্ধার করে আনতে গেছে।

কোস্টগার্ডের সদস্যরা ফিরে এলে রোহিঙ্গাদের নাম-পরিচয়সহ বিস্তারিত জানা যাবে।