ভাসানচরের কাছে ট্রলার ডুবে শিশু-কিশোরের মৃত্যু

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ট্রলার ডুবিতে দুই শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তবে নয়জন জেলে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরের পূর্ব-দক্ষিণে বৈরী আবহাওয়ায় ট্রলারটি ডুবে যায়।

মৃত দুই শিশু-কিশোর হলো চরকিং ইউনিয়নের রহমত উল্লার ছেলে মো. ইনসাস আহাদ (১৬) ও চর ঈশ্বর ইউনিয়নের মো. ফারুকের ছেলে মো. রাজিব (১২)। দুজনই জেলেদের সহকারী হিসেবে সাগরে গিয়েছিল বলে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মৃত দুই শিশু-কিশোর ও জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিয়ে অন্য জেলেরা হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডে ফিরে আসেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের বাংলাবাজার ঘাটের হাশেম মাঝির মাছ ধরার একটি ট্রলারে নয়জন জেলে দুই শিশু-কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে মেঘনা নদী ও তৎসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভাসানচরের পূর্ব-দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ দমকা হাওয়ায় ট্রলারটি উল্টে ডুবে যায়।

সূত্র জানায়, ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর আশপাশের এলাকায় মাছ ধরতে থাকা অন্য জেলেরা তাঁদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। তাঁরা নয়জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ইনসাস আহাদ ও রাজিব নিখোঁজ থাকে। আজ ভোরের দিকে সাগরে তাদের লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করেন জেলেরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তাঁরা দুজনের লাশ ও জীবিত উদ্ধার করা জেলেদের নিয়ে হাতিয়ার বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছান।

মাছ ধরা ট্রলারে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাতিয়ার নলচিরাঘাটের নৌ পুলিশের পরিদর্শক মো. একরাম প্রথম আলোকে বলেন, নিষেধ করলে জেলেদের কেউই শোনেন না। শুধু শিশু-কিশোরই নয়, এখানকার কোনো কোনো নৌকায় দুধের শিশুকে নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে দেখা যান জেলেরা। আজ সকালে বাংলাবাজার ঘাটে নদীতে এমন এক নারীকে দেখে তিনি নিজ থেকে শিশুর জন্য কিছু খাবার কিনে দিয়েছেন।