ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা দেওয়ায় একজনকে কারাদণ্ড

ভ্রাম্যমাণ আদালত
প্রতীকী ছবি

সুদৃশ্য সাইনবোর্ডে নিজের নামের সঙ্গে লেখা এমবিবিএস, পিজিটি (আপার), এমডি (মেডিসিন), ঢাকা। কোনো মেডিকেল কলেজে না পড়েই ভুয়া বিএমডিসি নম্বর ব্যবহার করে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন খালিদ বিন মাহবুব রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তি।

তিনি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের কুশমইল বেলীর মোড়ে চেম্বার খুলে চার-পাঁচ বছর ধরে এমন প্রতারণা করে আসছিলেন।

স্থানীয় লোজজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার বিকেলে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিলুফা আক্তার ওই চেম্বারে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রণব কুমারসহ নিয়ামতপুর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে খালিদ বিন মাহবুব রহমানকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত খালিদ বিন মাহবুব রহমান নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি পাস (পাস কোর্স)। বিএসসি পাসের পর তিনি নীলফামারীতে একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে ছয় থেকে সাত বছর কাজ করেছেন। পরে তিনি ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে নিয়ামতপুরে এসে রোগী দেখতে শুরু করেন। চার থেকে পাঁচ বছর ধরে রোগীদের সঙ্গে তিনি এই প্রতারণা করে আসছিলেন।