ভেসে গেছে ৫০০ পুকুরের মাছ, ক্ষতির মুখে চাষিরা

ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের সংখ্যা আরওবাড়বে। এসব পুকুরে বিভিন্ন জাতের বড় মাছ ও পোনা ছিল।

বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ। জাল দিয়ে মাছ রক্ষার চেষ্টা। গতকাল সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের শ্রীপুরে
ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জে উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৫০০ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছচাষিরা। এর মধ্যে দুটি উপজেলা ক্ষতি হয়েছে বেশি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব পুকুর তলিয়ে যায়। মৎস্য বিভাগের হিসাবমতে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জেলার ৪৫০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের সংখ্যা আরও বাড়বে। এসব পুকুরে বিভিন্ন জাতের বড় মাছ ও পোনা ছিল। এতে টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা। এর মধ্যে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় ২৫৮টি এবং ছাতক উপজেলায় ১৫৭টি পুকুরের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। এসব পুকুরে ৩০ মেট্রিক টন মাছ ছিল। পোনা ছিল প্রায় ২৫ লাখ।

দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের বাসিন্দা মাছচাষি নুরুল ইসলাম জানান, তাঁর মাছের খামারের তিনটি পুকুরের মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। মাছগুলোর ওজন ছিল দুই থেকে আড়াই কেজি।

নুরুল ইসলাম বলেন, অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ১৯ একরের একটি পুকুরে কেবল বড় মাছ ছিল। সব ভেসে গেছে। এখন পথে বসার অবস্থা।

একই এলাকার দীন ইসলাম জানান, তাঁরও চারটি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এ মাসেই সব মাছ বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সর্বনাশ হয়ে গেছে।

বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ

বন্যাকবলিত দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গতকাল ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। দুপুরেও দোয়ারাবাজার এবং বিকেলে ছাতক উপজেলায় এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় দুপুরে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের খাদ্যসমাগ্রী।