ভোলায় সেপটিক ট্যাংকের কাজে নেমে তিন শ্রমিকের মৃত্যু

সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আজ রোববার তজুম‌দ্দি‌ন উপ‌জেলার দ‌ক্ষিণ–প‌শ্চিম চাচড়া সরকা‌রি প্রাথ‌মিক বিদ্যালয় মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় একটি স্কুলের সেপটিং ট্যাংকের কাজ করতে নেমে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ–পশ্চিম চাচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. রাকিব (৩৫), মো. শামিম (৩০) ও মো. আলাউদ্দিন (৩৫)। রাকিব ও শামিমের বাড়ি তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের শিবপুর খাসের হাট এলাকায়। আলাউদ্দিন একই উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জিয়াউল হক ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্মাণাধীন সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুল ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। সেই ঢালাইয়ের বাঁশ-কাঠ খোলার জন্য রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মো. আলাউদ্দিন প্রথমে ট্যাংকের ভেতরে নামেন। তিনি না উঠলে একে একে রাকিব ও শামিম নামেন। তাঁদের কেউ না উঠলে মো. ফারুক নামে আরেক রাজমিস্ত্রি এলাকাবাসীকে ডাক দেন। তাঁরা এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে দুপুর পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধার করেন।

ভোলার সিভিল সার্জন সৈয়দ মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন আটকে থাকার কারণে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরের অক্সিজেন ফুরিয়ে গেছে। সেখানে মনোক্সাইড, কার্বন ডাই–অক্সাইড ও সালফার অক্সাইড গ্যাস সৃষ্টি হয়েছে। ওই বিষাক্ত গ্যাস নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নামার আগে সুরক্ষাব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

তজুমদ্দিন উপজেলা প্রকৌশলী মো. অহিদুজ্জামান বলেন, এসব ক্ষেত্রে সুরক্ষা নিয়ে ট্যাংকের ভেতরে নামার কথা। কিন্তু কেন করেনি, বিষয়টি জানেন না। কাজটি বিশ্বব্যাংকের এমডিএসসি প্রকল্পের। ঢাকার কনা কনস্ট্রাকশন কাজটি বাস্তবায়ন করছে।