ভেড়ামারায় আ.লীগ নেতার হত্যাকারীদের ধরতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগ নেতা নিহতের ঘটনায় হত্যাকারীদের ধরতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। আজ সন্ধ্যায় ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার চাঁদগ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমানের (৫৩) হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করলে আগামীকাল (শনিবার) থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতারা।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা লাশ সামনে রেখে বিক্ষোভ করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম এ হুঁশিয়ারি দেন। এর আগে বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ভেড়ামারা শহরে আনা হয়। সেখানে লাশ নিয়ে বিক্ষোভের সময় নেতা–কর্মীরা জাসদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

আরও পড়ুন

সমাবেশে শামীমুল ইসলাম বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আহ্বান করছি, যদি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা হয়, তবে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, অবশ্যই আওয়ামী লীগ এমন কঠোর কর্মসূচি দেবে, তখন প্রশাসন আমাদের দায়ী করতে পারবে না। নিহত সিদ্দিকের পরিবার যাদের নাম বলেছে, দায়ী করছে, তাদের প্রত্যেককে ধরতে হবে। যদি না করেন, তাহলে যে দলমতের হোক, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা নেবে।’

প্রশাসনের উদ্দেশে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আপনারা অন্য কোনো খেলা খেলবেন না। টেলিফোনের চিন্তা করবেন না। আমাদেরও বহুত টেলিফোন আছে। একটা টেলিফোনের চেয়ে অনেক ওজনের কয়েক শ টেলিফোন করাতে পারি।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বসে থাকব না। বিচার না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকব। অনেক হয়েছে আর নয়।’

আরও পড়ুন

সিদ্দিকুর রহমান (৫৩) চাঁদগ্রাম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে মাঠে কাজ করার সময় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় তাঁর আপন তিন ভাই ইউনুচ আলী মণ্ডল (৪৮), খালেক মণ্ডল (৩৯) ও বাদশা মণ্ডল (৩০) এবং ভাতিজা কুব্বাত আলীও (৩৩) গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে বাদশার অবস্থা গুরুতর। গুলি করার পাশাপাশি তাঁর পায়ে কোপানো হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিরোধের জেরে জাসদ মনোনীত চেয়ারম্যান ও জাসদ নেতা আবদুল হাফিজ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে হাফিজ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আজ রাত আটটা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। থানায় মামলাও হয়নি।