ভৈরবে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম সোহরাব উদ্দিন (৩২)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহরাবের বাবার অভিযোগ, সামান্য টাকাপয়সার লেনদেনের সূত্র ধরে তাঁর ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন হান্নান নামের এক ব্যক্তি।

পুলিশ জানায়, কালিপুর উত্তরপাড়ার হান্নান একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী আইনে মামলা আছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোহরাব অটোরিকশা ব্যবসায়ী। তাঁর কাছে হান্নান কিছু টাকা পেতেন। সোহরাব দিতে পারছিলেন না। এ নিয়ে কিছুদিন আগে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে সালিসে মীমাংসাও হয়। কিন্তু হান্নান বিষয়টি মন থেকে মেনে নেননি। সোহরাবকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গতকাল রাত আটটার দিকে সোহরাবকে ডেকে নেন হান্নান। পরে উপজেলার রামশংকপুর এলাকায় নিয়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহরাবকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে সোহরাব মারা যান।

সোহরাবের বাবা মোতালিব মিয়া বলেন, ‘মাদক ব্যবসা করার কারণে হান্নানের অনেক টাকা। এলাকায় প্রভাব বেশি। এ কারণে হান্নানের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস অনেকে দেখাতে পারেন না। ফলে, সামান্য টাকাপয়সার লেনদেনের সূত্র ধরে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে হান্নান।’

ঘটনার পর থেকে হান্নান পলাতক। তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যা মিটে গিয়েছিল। এরপর থেকে তাঁদের মধ্যে আর কোনো সমস্যা ছিল না। সোহরাবকে হান্নান মেরেছেন—এমন দৃশ্য কেউ সরাসরি দেখেননি। ধারণা করে দোষ চাপানো হচ্ছে।

ঘটনার পর ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ শেখ ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, খুন হওয়ার আগে সোহরাবকে ডেকে নেন হান্নান—এই দৃশ্য অনেকে দেখেছে। ছুরিকাঘাত করার সময় অনেকে দেখেছে বলে জানিয়েছে। হান্নান একজন মাদক ব্যবসায়ী। সোহরাবের বরাত দিয়ে এসআই জানান, আহত অবস্থায় সোহরাব তাঁর স্বজনদের বলে গেছেন, হান্নান ও আরও দু-তিনজন মিলে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেছেন।