ভৈরবে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত ছুরিকাহত

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের একটি পাড়ায় মা–বাবার সঙ্গে থাকে প্রতিবন্ধী মেয়েটি। ঘরের কাছেই পিঠার দোকান। মা তাকে পিঠা আনতে দোকানে পাঠান। তখন রাত আটটা। এ সময় হাসান আলী (২৮) নামের ওই পাড়ারই পূর্বপরিচিত এক যুবক মেয়েটিকে দেখে ডেকে কাছে আনেন এবং একটি করাতকলের কাছে নিয়ে যান। পরে সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকের ঘটনা এটি। মেয়েটির চিৎকারে এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হাসানকে ধরে ফেলেন এবং পুলিশকে খবর দেন। এদিকে মামাতো বোনকে ধর্ষণ করার খবর পেয়ে কিশোরীর ফুফাতো ভাই মো. সাকিব (১৮) ছুরি হাতে এসে হাসানকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে হাসান গুরুতর জখম হন। পরে পুলিশ এসে দুজনকেই আটক করে। পুলিশ সাকিবকে থানায় নিয়ে যায় আর হাসানকে পুলিশ প্রহরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মেয়েটির চিৎকারে জনত এগিয়ে এসে অভিযুক্ত হাসানকে ধরে ফেলেন। এদিকে মামাতো বোনকে ধর্ষণ করার খবর পেয়ে কিশোরীর ফুফাতো ভাই মো. সাকিব (১৮) ছুরি হাতে এসে হাসানকে ছুরিকাঘাত করেন।

এই ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মেয়েটির মা আজ মঙ্গলবার ভৈরব থানায় মামলা করেছেন। মামলায় হাসানকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। এদিকে ছুরিকাঘাত করে আহত করার অভিযোগে আজ হাসানের বোন রুপা আক্তারও একটি মামলা করেছেন। মামলায় সাকিবকে আসামি করা হয়।

মেয়েটির মা প্রথম আলোকে বলেন, পিঠা আনার জন্য দোকানে পাঠানোর কারণেই মেয়ের সর্বনাশ হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটি তাঁকে হাসানের নাম বলেছে।

তবে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অভিযুক্ত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, করাতকলের কাছে ডেকে নিলেও তিনি ধর্ষণ করেননি।

এদিকে, একজন ধর্ষককে শাস্তি দিতেই ছুরিকাঘাত করেছেন বলে জানিয়েছেন সাকিব।
ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগেই অভিযুক্ত ছুরিকাঘাতের শিকার হন।