ভোগান্তির বাঁধ কাটায় বাঁধভাঙা উল্লাস

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ১৭ বছরের জনদুর্ভোগ লাঘবে কেটে দেওয়া হলো খালের বাঁধ। বাঁধটি কাটার সময় বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে এলাকাবাসী। বুজর্গোকোনা, রাধাগঞ্জ, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ, ২৪ আগস্ট
প্রথম আলো

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ১৭ বছরের জনদুর্ভোগ লাঘবে কেটে দেওয়া হলো পাড়কোনা-পয়সারহাট খালের বাঁধ। এ সময় বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে এলাকাবাসী। এতে প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।


আজ সোমবার বেলা ১১টায় কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বুজর্গোকোনা এলাকায় পাড়কোনা-পয়সারহাট খালের ওপর নির্মিত বাঁধটি কেটে দেওয়া হয়। এ সময় কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মাহফুজুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

১৭ বছরের জনদুর্ভোগ লাঘবে কেটে দেওয়া হলো খালের বাঁধ। বাঁধটি কাটার সময় বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে এলাকাবাসী। বুজর্গোকোনা, রাধাগঞ্জ, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ, ২৪ আগস্ট
প্রথম আলো

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুজর্গোকোনা এলাকায় পাড়কোনা-পয়সারহাট খালে বাঁধ দিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ২০০৩ সালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কাজ শেষ করার পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাঁধটি না কেটেই চলে যায়। এরপর প্রশাসনিক জটিলতার কারণে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ধরে খালের বাঁধটি কাটা হয়নি। অবশেষে এলাকাবাসীর দাবির মুখে ইউএনওর নির্দেশে বাঁধটি কেটে ফেলা হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান শেখ বলেন, বাঁধটি কেটে দেওয়ার ফলে উত্তর পাড়া, পূর্ব পাড়া, বান্ধাবাড়ি, বটবাড়ি, খাকবাড়ি, আমবাড়ি, জটিয়ারবাড়িসহ প্রায় ২০টি গ্রামের জনগণ উপকৃত হবে। এসব এলাকার মানুষের নৌ যাতায়াত ও বোরো আবাদের সুবিধা হবে।


উত্তর পাড়া গ্রামের আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘খালটিতে বাঁধ থাকার কারণে আমাদের এলাকার প্রায় ৩০ হাজার জনগণের বোরো আবাদে সমস্যা হতো। আমরা সেচসুবিধা পেতাম না। এখন আমাদের আর সমস্যা হবে না। বিল থেকে ধান কেটে সহজেই বাড়ি নিয়ে আসতে পারব।’

ইউএনও এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, বাঁধটি এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের জনগণের জন্য দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রায় ১৭ বছর পরে বাঁধটি কেটে দেওয়ায় এলাকার লোকজন ধান চাষ, মাছ আহরণ ও নৌ যাতায়াতের জন্য উপকৃত হবে।