ভোট কখনো রাতে হয় না, দিনেই হয়

পাবনা–৪ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা (মাঝে)। আজ সকালে পাবনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে
ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, ভোট কখনো রাতে হয় না, দিনেই হয়। এবার বিতর্ক এড়াতে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।

আজ বুধবার পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন নূরুল হুদা। বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা হয়।

সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন কারও পক্ষপাতিত্ব করে না, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা করে। পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনেও সে ধারাই অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী কমিশন সব ব্যবস্থা নেবে।

গত ২ এপ্রিল পাবনা-৪ আসনের সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৬ সেপ্টেম্বর এ আসনের উপনির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে।

কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী প্রশাসন বা কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা অনিয়মের অভিযোগ করেননি। কোনো সাংসদ বা সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত কেউ কোনো প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে সভা-সমাবেশ করেছেন, তারও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় করোনাকালে নির্বাচন করছে কমিশন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই উপনির্বাচন হবে। প্রার্থীদের নির্বাচন আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কমিশন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আলমগীর কবীর, জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ প্রমুখ।

গত ২ এপ্রিল পাবনা-৪ আসনের সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৬ সেপ্টেম্বর এ আসনের উপনির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে।