‘ভোট বিক্রি হবে, ভোট কিনে নেবে—প্রথাটা না থাকাই উচিত’

আরিফুর রহমান
ফাইল ছবি

আজ ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস। দেশে তৃতীয়বারের মতো পালিত হতে যাচ্ছে এ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে জয়পুরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়শীল দেশের নাগরিক হতে যাচ্ছি। উন্নয়নশীল দেশে ভোট বিক্রি হবে, ভোট কিনে নেবে—এই প্রথা, এই সিস্টেমটা না থাকাই উচিত।’

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মূল ফটকের সামনে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধন করা হয়। ভোটার দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বয়স যদি আঠারো হয়, ভোটার হতে দেরি নয়’। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে কর্মসূচি কিছুটা সীমিত রাখা হয়েছে।

এখানে ডিসি মহোদয় আছেন, ওনাকে অনুরোধ জানাব, জয়পুরহাট জেলায় সচেতনতামূলক কোনো কাজ করতে পারি কি না। ভোটটা বিক্রি করতে গিয়ে একজন মানুষই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এই বোধটা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
আরিফুর রহমান, জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি

ভোট বিক্রি রোধে জয়পুরহাট জেলায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা করা যায় কি না, তার পরামর্শ দিয়ে আরিফুর রহমান বলেন, ‘এখানে ডিসি মহোদয় আছেন, ওনাকে অনুরোধ জানাব, জয়পুরহাট জেলায় সচেতনতামূলক কোনো কাজ করতে পারি কি না। ভোটটা বিক্রি করতে গিয়ে একজন মানুষই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এই বোধটা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। যাঁরা প্রার্থী হবেন, তাঁরা যেন বুঝতে পারেন, জনপ্রিয়তা ও পরিশ্রম দিয়েই আসতে হবে। আগামী ভোটে আমরা যতটুকু পারি, শুরু করব।’

জাতীয় ভোটার দিবসের এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শরীফুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় জয়পুরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, জয়পুরহাট জেলায় মোট ভোটার ৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬ জন এবং নারী ভোটার ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১১৯ জন।