ভোটারদের আশ্বস্ত করেছি নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন: আ.লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচন ২৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মালিক। একান্ত সাক্ষাৎকারে নির্বাচন ও পৌরসভার সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মালিক
প্রশ্ন:

কাউন্সিলর পদে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। অভিজ্ঞতার কোনো পার্থক্য আছে কি?

জাহাঙ্গীর আলম: এবার নিয়ে টানা পাঁচ দফা নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আগে প্রতিবেশীরাই আমাকে নির্বাচিত করতেন। ভোটের মাঠ এখন অনেক বড়। এবার ভিন্ন পাড়ায় আমাকে ছুটতে হচ্ছে। তবে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার কারণে পুরো এলাকা ও এলাকার মানুষ সবাই পরিচিত।

প্রশ্ন :

এবার প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট হবে। ভোটারদের উপস্থিতি বা কেমন ভোট পড়বে বলে মনে করেন?

জাহাঙ্গীর আলম: ইভিএমে ভোট হলেও ভালোই পোল (ভোট পড়বে) হবে। কারণ, মানুষ এখন ভোট দিতে আগ্রহী।

প্রশ্ন :

ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে বা ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করতে আপনি কী করছেন?

জাহাঙ্গীর আলম: যখন ভোটের প্রচারণায় যাচ্ছি, তখন ভোটারদের আশ্বস্ত করছি যে নির্ভয়ে নিজের ভোটটি দিতে পারবেন।

প্রশ্ন :

এবারের নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন?

জাহাঙ্গীর আলম: মেয়র পদে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের সবাই যোগ্য। তাই বাকি ছয়জনকেই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবেই আমি ভোট করছি।

প্রশ্ন :

কেমন নির্বাচন আশা করছেন? জয়লাভের প্রত্যাশা কতটুকু?

জাহাঙ্গীর আলম: এবারের ভোট গ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। জয়লাভের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে মনে করছি।

প্রশ্ন :

নির্বাচন সামনে রেখে ভোটারদের কী ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন?

জাহাঙ্গীর আলম: নাগরিকদের বসবাসের উপযোগী আধুনিক পৌরসভা করা হবে।

প্রশ্ন :

কাউন্সিলর হিসেবে বিগত সময়ে যা করেছেন, তাতে নিজেকে সফল বলে মনে করেন কি?

জাহাঙ্গীর আলম: ১৯৮৯ সাল থেকে একটানা জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি এবং আমি অনেকাংশেই সফল।

প্রশ্ন :

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা সমস্যায় জর্জরিত। আপনি নির্বাচিত হলে কোথা থেকে কাজ শুরু করবেন? বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে?

জাহাঙ্গীর আলম: পৌরসভার অনেক কাজই বাকি। আমার বড় ইচ্ছা চুয়াডাঙ্গা রেলগেটের দুর্ভোগ কমাতে ওভারপাস তৈরি। যদিও সড়ক বিভাগের কাজ এটি। তাদের প্রেশার (চাপ) দেওয়া হবে।

প্রশ্ন :

কাউন্সিলর হিসেবে মেয়রের সঙ্গে সমন্বয়ের অভিজ্ঞতা কেমন? নির্বাচিত হলে কাউন্সিলরদের কীভাবে পরিচালনা করবেন?

জাহাঙ্গীর আলম: মেয়রের সঙ্গে সমন্বয় সুখকর নয়। তবে আমি নির্বাচিত হলে কাউন্সিলরদের মর্যাদা রক্ষায় সবকিছু করা হবে। কোনো অভিশপ্ত জীবনে যেতে চাই না।

প্রশ্ন :

পৌরসভার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা আছে?

জাহাঙ্গীর আলম: অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আছে। সেটা এ মুহূর্তে বলে বোঝাতে পারব না।

প্রশ্ন :

পৌর শহরের বেশির ভাগ নালার (ড্রেন) সঙ্গে শৌচাগারের লাইন সংযোজন করা আছে, যা সরাসরি মাথাভাঙ্গা নদীতে পড়ায় এখন কেউ সেখানে গোসল করে না। মাথাভাঙ্গা নদী দূষণের হাত থেকে রক্ষায় আপনার পরিকল্পনা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম: এটা অল্প সময়ে হবে না। মানুষের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সবাইকে নিয়ে কাজ করা হবে।

প্রথম আলো: সাক্ষাৎকার দেওয়ায় ধন্যবাদ।

জাহাঙ্গীর আলম: প্রথম আলোকেও ধন্যবাদ।