ভোটারদের হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে আ.লীগ প্রার্থীর ইশতেহার

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর ইশতেহারের কপি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে
প্রথম আলো

রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর ঘোষিত ১৫ দফা ইশতেহার পৌঁছে যাচ্ছে ভোটারদের হাতে হাতে। ভোট চাওয়ার পাশাপাশি নেতা-কর্মীরা ছাপানো ইশতেহারের কপি পৌঁছে দিচ্ছেন। ভোটারদের কাছে জবাবদিহির সুযোগ ও তাঁদের আকৃষ্ট করার জন্য মেয়রের এই উদ্যোগ। তবে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোনো ইশতেহার নেই।

উপজেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র আবদুল মালেক মণ্ডল, বিএনপির আবদুর রাজ্জাক প্রামাণিক, স্বতন্ত্র এস এম মামুনুর রশিদ ও কামাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ১৪ হাজার ৪০৫ জন ভোটার ভোট দেবেন।

প্রার্থী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে থেকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল মালেক মণ্ডলের সমর্থকেরা ১৫ দফাসংবলিত ইশতেহারের ছাপানো কপি ভোটারদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেন। প্রথমে পৌরসভার এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ডেকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ইশতেহারের কপি। নির্বাচিত হলে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করবেন, এরও ব্যাখ্যা দেওয়া হয় শিক্ষকদের সামনে।

এরপর মেয়র প্রার্থীর সমর্থকেরা ইশতেহারের কপি নিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ছুটে বেড়ান পৌরসভার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। তাঁরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে কপিগুলো বিতরণ করেন এবং প্রার্থীর নৌকা প্রতীকে ভোট চান। ইতিমধ্যে ৯৫ শতাংশ ভোটারের পরিবারের কাছে ইশতেহারের কপি পৌঁছানো হয়েছে বলে এই কাজে যুক্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

প্রার্থীর ১৫ দফার মধ্যে রয়েছে পৌরসভায় শান্তি শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে ভবানীগঞ্জ পৌরসভাকে সিসি ক্যামেরার ও ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, পৌরসভার সব এলাকার রাস্তা পাকা করা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার চলমান কাজ সম্পন্ন করা। এ ছাড়া পৌর এলাকাকে মাদকমুক্ত করা, শিশু-কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের বিকাশের জন্য একটি ছোট স্টেডিয়াম নির্মাণ, হাটবাজারের উন্নয়ন, আলাদা ফুটপাত নির্মাণসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করার কথা হয়েছে ইশতেহারে।

মেয়র আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুখের কথা লিখিত ইশতেহারের মাধ্যমে অঙ্গীকার ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং তা প্রত্যেক ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। নির্বাচিত হলে সব কটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। এই ইশতেহারের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে জবাবদিহির সুযোগ থাকছে।’

তবে অন্য প্রার্থীদের লিখিত বা মৌখিক কোনো ইশতেহার নেই। নির্বাচিত হলে তাঁরা পৌরসভার সব ধরনের সমস্যার সমাধান করবেন বলে ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিন প্রার্থী বিএনপির আবদুর রাজ্জাক প্রামাণিক, স্বতন্ত্র এস এম মামুনুর রশিদ ও কামাল হোসেন বলেন, তাঁরা পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানসহ সব ধরনের উন্নয়নকাজ করবেন।