ভোলার সড়কে পাঁচ ঘণ্টায় তিন দুর্ঘটনা, নিহত ৩

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

ভোলার দুই উপজেলায় আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টায় তিনটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এতে এক শিশু, এক যুবক ও এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের বাড়ি দৌলতখান ও একজনের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহাজনের মোড় এলাকায় অভ্যন্তরীণ সড়কে অটোরিকশার (বোরাক) চাপায় লামিয়া (৮) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লামিয়া উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের আকবর হোসেনের মেয়ে। সে পাঁচ দিন আগে মহাজনের মোড় এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। লামিয়া নানা বাড়ির সামনে রাস্তা পাড় হওয়ার সময় সৈয়দপুর ইউনিয়নের মিজিরহাট এলাকার অটোরিকশাচালক মনির হোসেন তাকে চাপা দিয়ে চলে যান।

পুলিশ আরও জানায়, একই দিন ভোর ছয়টার দিকে ভোলা-চরফ্যাশন আন্তমহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় বাসের চাপায় মো. কবির হোসেন (৬৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের মধ্যজয়নগর গ্রামে।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কোনো মামলা কিংবা আটক হয়নি। তবে নিহত ব্যক্তির পরিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বরাবর ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে।

চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিঞা বলেন, একটি তেলবাহী ট্যাংকার চরফ্যাশন শহর থেকে ভোলা যাচ্ছিল। বেলা ১১টার দিকে ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের কাইমুদ্দিন মোড়ে অপর দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে দিদারুল্লাহ (৪০) নামের এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি অটোরিকশার চালক ছিলেন। তাঁর বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুরে।

ওসি জানান, এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে দুজন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তিনজন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনায় ট্যাংকারটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে কেউ আটক হননি।