ভোলায় টর্নেডোর আঘাতে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

ভোলার চরফ্যাশনে শনিবার দিবাগত রাতে টর্নেডোর আঘাতে ভেঙে যায় বসত ঘর ও গাছ। ছবিটি উপজেলার দক্ষিণ আসলামপুর গ্রাম থেকে আজ সকালে তোলা
প্রথম আলো

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় টর্নেডোর আঘাতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে হওয়া ওই ঝড়ে চরফ্যাশন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও আসলামপুর ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে সবজিখেত ও সহস্রাধিক গাছ। এ ছাড়া ঘর ভেঙে পড়ার সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

আজ রোববার স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। তিনটার দিকে টর্নেডো আঘাত হানে। আসলামপুর ইউনিয়নের আসলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শাজাহান জানান, ইউনিয়নের বদ্দারহাট থেকে ঝড়টি শুরু হয়। এরপর ওঁচাপুল, বুলাইমোড়, দুদুমিয়ার পুল হয়ে চরফ্যাশন পৌরসভায় গিয়ে শেষ হয়। প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়টি বয়ে যায়।

আসলামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ঘর চাপা পড়ে দক্ষিণ আসলামপুর গ্রামের জিয়াউদ্দিন, আব্বাস মিয়া, ফজিলাতুননেছা, সালাউদ্দিন পালোয়ান, সালাউদ্দিন, হোসেন মোল্লা, জাকির হোসেন, ফজলু মোল্লা, শহীদ খান আহত হন।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে ইউনিয়নের ৪০টি বসতঘর ও ৫টি দোকান সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর ও দোকানের সংখ্যা প্রায় ৭০। ঘর চাপা পড়ে ২৫ জন সামান্য আহত হলে তাঁদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন আজ সকালে টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ পরিবারকে শুকনা খাবার দেন। ঝড়ে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও আসলামপুর ইউনিয়নের ৬০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান ইউএনও। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ জনকে তাৎক্ষণিক শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। তালিকা শেষে চাল দেওয়া হবে। নগদ টাকা ও টিনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।