ভোলায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করার দাবি
ভোলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম ওরফে টিটু (৩২) হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন নিহত খোরশেদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব দাবি জানান। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভোলা-১ আসনের সাংসদ তোফায়েল আহমেদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রোকেয়া বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ চলে গেলেও প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এর আগে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ভোলাবাসী মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়েছে। যে দুজন আসামি গ্রেপ্তারে হয়েছে, তাঁরা মামলার মূল আসামি নয়। অথচ প্রধান আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফেসবুকে লাইভ দিয়ে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে মানুষের সহমর্মিতা আদায়ের চেষ্টা করছেন।
রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী ছিলেন। ছোটবেলা থেকে ছাত্রলীগ করতেন। তিনি মদনপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম নাছির উদ্দিনের প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। সে কারণেই তিনি প্রতিপক্ষ জামাল উদ্দিনের কুনজরে পড়েন।’
সংবাদ সম্মেলনে দৌলতখান উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম খান, দৌলতখান পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার, মদনপুরের চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন, দৌলতখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীরসহ নিহত খোরশেদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে ভোলা সদর উপজেলায় মেঘনা নদীর চেয়ারম্যান বাজার-নাছির মাঝি নৌপথের হেতনার হাট এলাকায় গুলির ঘটনা ঘটে। এতে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার পর ওই দিন গভীর রাতে খোরশেদের ভাই মো. হানিফ বাদী হয়ে জামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জামাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে মামলার পর জামাল উদ্দিন বলেছিলেন, এটা ষড়যন্ত্র। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিনকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।