মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় করোনার টিকাদান বন্ধ

মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় বগুড়ার গাবতলী, কাহালু ও শাজাহানপুর উপজেলায় করোনার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। সরবরাহ না থাকায় বৃহস্পতিবার এ তিন উপজেলায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের এদিন দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার কথা ছিল।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলার ১৪টি টিকাদানকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার থেকে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের কথা ছিল। কিন্তু গাবতলী, শাজাহানপুর ও কাহালু উপজেলায় মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, জেলায় করোনার টিকার মজুত প্রায় ফুরিয়ে যাওয়ার পথে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলাজুড়ে টিকার মজুত ছিল মোটে ২ হাজার ৮০টি। সেখান থেকে ৯৬৫ জনকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ২৫৯ জন। এখন জেলাজুড়ে করোনার টিকা আছে মোটে ৮৫৬টি। নতুন করে বরাদ্দ পাওয়া ৬৯ হাজার টিকা শুক্রবার বগুড়ায় পৌঁছার কথা রয়েছে।

কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাকারিয়া রানা প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলায় প্রথম ডোজের করোনার টিকা গ্রহণের জন্য ৮ হাজার ৬০ জন নিবন্ধন করেছিলেন। ইতিমধ্যে ৮ হাজার ৬০ জনকেই টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন টিকার কোনো মজুত নেই। নতুন করে সরবরাহ না পাওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান সম্ভব নয়।

সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের হাতে মোটে ৮০টি করোনার টিকা ছিল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের টিকা গ্রহণের জন্য ৪০ জনকে খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছিল। তবে টিকা নিয়েছেন ২২ জন। এ ছাড়া প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮ জন।’

বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সামির হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল টিকাদানকেন্দ্রে ৩৭০ জন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে ১৬১ এবং পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ৮৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি এ তিন কেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৭৯০ জন। তবে ১৭৪ জন দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসেননি।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সোনাতলা উপজেলায় ১৯, শিবগঞ্জে ১০, আদমদীঘিতে ১২০, দুপচাঁচিয়ায় ৪৪, নন্দীগ্রামে ৮২, শেরপুরে ২০ এবং ধুনটে ৩৩ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে আসা শামসুজ্জোহা (৬৬) বলেন, প্রথম ডোজের টিকা নিতে এসে দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাঁচ মিনিটেই পেয়েছেন।