মজুরির নতুন চুক্তি প্রত্যাখ্যান, ৬৭০ টাকা দাবি চা-শ্রমিক সংঘের

চা বাগানে কাজ করছেন দুই নারী
প্রথম আলো ফাইল ছবি

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশিয় চা-সংসদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চা-শ্রমিকদের ১২০ টাকা দৈনিক মজুরির (বেতন) নতুন সমঝোতা চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে চা-শ্রমিক সংঘের মৌলভীবাজার জেলা কমিটি। শুক্রবার চা-শ্রমিক সংঘ জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাজদেও কৈরী ও যুগ্ম আহ্বায়ক হরি নারায়ণ হাজরা এক যৌথ বিবৃতিতে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে মজুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেন। চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ২১ মাস ১৫ দিন পর গত বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের মধ্যে ওই সমঝোতা চুক্তি হয়।

নতুন চুক্তি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এ বিষয়ে বিবৃতিতে সংঘের নেতারা বলেছেন, বর্তমানে মোটা চালের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। এ ছাড়া, বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। সেই সময়ে দৈনিক মাত্র ১২০ টাকা মজুরিতে কী করে একজন চা-শ্রমিক ৬ থেকে ৭ জনের পরিবার চালাবে?

বিবৃতিতে বলা হয়, চা-শ্রমিক সংঘের পক্ষ থেকে মজুরি বোর্ডের কাছে দৈনিক ৬৭০ টাকার দাবিতে আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত মজুরির আবেদন করা হয়েছে। এমনকি চা-শ্রমিক ইউনিয়নও দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল। অথচ চা-শ্রমিকদের অবগত না করেই দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করে মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর সমঝোতা স্মারকে মজুরি ১০২ টাকা থেকে মাত্র ১৮ টাকা বৃদ্ধি করে ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মজুরি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে সরকার গঠিত মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে দৈনিক ৬৭০ টাকা মজুরি করারও দাবি জানান সংঘের নেতারা।