মতলবে জাপা ও ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

ভোট জালিয়াতি, অনিয়ম ও ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে চাঁদপুরের মতলব পৌরসভা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ডি এম আলাউদ্দিন ও ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুহাম্মদ সফিকুল ইসলাম প্রধান। এই দুই মেয়র প্রার্থী আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় নিজ নিজ বাসায় পৃথক সংবাদ ব্রিফিং করে তাঁরা এই ঘোষণা দেন।

ডি এম আলাউদ্দিন ও সফিকুল ইসলামের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট জালিয়াতি করছেন। তাঁরা পৌরসভাটির ২২টি ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের দলের এজেন্টদের জোর করে বের করে দেন। ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একচেটিয়া দাপটে কোনঠাসা হয়ে পড়েন কেন্দ্রে আসা সাধারণ ভোটারেরাও। সাধারণ ভোটারদের জোর করে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করেন তাঁরা। এমনকি তাঁদের (আলাউদ্দিন ও সফিকুল) পরিবারের লোকজনও কেন্দ্রে গিয়ে লাঙল ও হাতপাখা মার্কায় ভোট দিতে পারেননি।

ওই দুই মেয়র প্রার্থী আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের অনিয়ম ও ভোট জালিয়াতির কথা স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনটির রিটার্নিং কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানালেও এসব অনিয়ম বন্ধে তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। স্থানীয় প্রশাসনও এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখেনি। এসব কারণে প্রহসনের এ নির্বাচন বর্জন করেন তাঁরা।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা ও প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ওই পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এনামুল হক বাদল।

অভিযোগের ব্যাপারে মতলব পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আওলাদ হোসেন বলেন, তিনি বা তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেননি। ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগও ভিত্তিহীন। হেরে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা ভোট বর্জন করেছেন।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু জাহের ভূঞা দাবি করেন, কোনো ভোটকেন্দ্রেই অনিয়ম বা ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।