মদনে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৫০

নেত্রকোনার মদনে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নায়েকপুর ইউনিয়নের সিংহের বাজারের পাশে গৌরার হাওরে মাখনা ও বাউসা গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষ বাধে।

আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে মদন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাশের কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসেন, মো. রুকেল মিয়া, কেন্তু মিয়ার নাম জানা গেছে। মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিরা হলেন পুলিশ সদস্য আরিফ, খসরু মিয়া, সাইদুল ইসলাম, আবু সাহেদ, পায়েল মিয়া, সবুজ মিয়া, লুৎফুর রহমান, টিপুল মিয়া, তাইজুল ইসলাম, সজুত মিয়া, ইছহাক মিয়া, সাইকুল ইসলাম, সুহেল মিয়া ও হেকিম মিয়া।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নায়েকপুর ইউনিয়নের সিংহের বাজারের পাশে গৌরার হাওরে মাখনা ও বাউসা গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষ বাধে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাউসা গ্রামের মানিক মিয়া স্থানীয় জনতা বাজারের ২ শতক জায়গা মাখনা গ্রামের ফৌজদার মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। ফৌজদার ওই জায়গায় একটি আধা পাকা দোকানঘর নির্মাণ করছিলেন। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার মানিক মিয়া বাজার কমিটিসহ তাঁর লোকজন নিয়ে ওই নির্মাণাধীন ঘরটি ভেঙে ফেলেন। এ ঘটনায় ফৌজদার মিয়ার ছেলে সোহেল খান বাদী হয়ে ওই দিন রাতে ২০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে বাজার কমিটির সভাপতি আজিজুল হকসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

ওই ঘটনার জের ধরে আজ বিকেলে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৫০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১১টি গুলি ছোড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।