মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর নির্বাচনে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় পৌর এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল হান্নান ওরফে মিঠুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় পৌর শহরের বটতলী ও ক্ষেতলাল এলাকায় দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি এই শোভাযাত্রা করেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ জুন ক্ষেতলাল পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ জুলাই পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২৮ জুন মনোনয়নপত্র দাখিল, ৩০ জুন যাচাই-বাছাই ও ৭ জুলাই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌর এলাকার বাসিন্দা আবদুল হান্নান নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনেক আগে থেকেই মেয়র পদে দোয়া চেয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছেন। তিনি মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। আজ বেলা ১১টার পর দেড় শতাধিক মোটরসাইকেলের একটি বহর নিয়ে তিনি পৌর এলাকার বটতলী ও ক্ষেতলালে শোভাযাত্রা করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় মোটরসাইকেলের বহরটি ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে ক্ষেতলাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ঢুকে পড়ে। তখন ওই মাঠে প্রাথমিক পর্যায়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা চলছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, তিলাবদুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাখাহারুঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মধ্যে খেলা চলছিল। এ সময় বিদ্যালয়ের মাঠে মোটরসাইকেলের বিশাল বহর ঢোকে। এতে শিক্ষার্থী খেলোয়াড়েরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। অবশ্য খেলার কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।

পৌর শহরের বাসিন্দা শাহিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল হান্নান মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এলাকায় শোভাযাত্রা করেছেন। এতে পৌর শহরের প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য যানজট তৈরি হয়েছিল। এখন প্রায় প্রতিদিনই এমন শোভাযাত্রা দেখতে হবে।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন ইয়াজদানী প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র পদপ্রত্যাশী আবদুল হান্নান মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন। বিষয়টি তাঁরা আগে জানতেন না। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শোভাযাত্রা করার বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর শোভাযাত্রা করা যাবে না। যদি কেউ শোভাযাত্রা করে, তাহলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হবে। কেউ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে কি না, সেটা তাঁর জানা নেই।

এ বিষয়ে আবদুল হান্নান ওরফে মিঠু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। দলীয় মনোনয়ন পাব বলে আশা করছি। আজ প্রথমে ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেছিলাম। পরে আরও ১০০ থেকে ১৫০ মোটরসাইকেল যোগ হয়েছিল। শোভাযাত্রা করা যাবে না, বিষয়টি আগে জানা ছিল না।’