মনোনয়নপত্রের বৈধতা পেলেন পাংশার আ.লীগ প্রার্থী

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ী পাংশা পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী মো. ওয়াজেদ আলীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে আপিল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুনানি শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে ৩ জানুয়ারি ঋণখেলাপির অভিযোগে ওয়াজেদ আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। এ ছাড়া ঋণখেলাপির অভিযোগে বাতিল হওয়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ওয়াজেদ আলী পাংশা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া দুই কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল মোতালেব মোল্লা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খোন্দকার ফরিদ হোসেন। ৩ জানুয়ারি পাংশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।

জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, মেয়র প্রার্থী মো. ওয়াজেদ আলী ৪ জানুয়ারি আপিল করেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সন্ধ্যায় প্রার্থীরা বৈধ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ মোট ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন ও কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হলেন বিএনপির মো. রইচ উদ্দিন খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফজলুল হক ফরহাদ ও মো. ইদ্রিস আলী। রইচ উদ্দিন পৌর বিএনপির সদস্যসচিব ও ফজলুল হক উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। অপরজন ইদ্রিস আলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। ইসলামী ব্যাংক উত্তরা শাখায় আমার ঋণখেলাপি দেখানো হয়েছিল। কিন্তু ওই শাখায় আমার কোনো হিসাব নম্বর বা লেনদেন ছিল না। আমি প্রয়োজনীয় তথ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করে বাতিল হওয়ার পরের দিন আপিল করি।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাংশা পৌরসভায় মোট ভোটার ২৪ হাজার ৩১৩ জন। এঁদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ১১৩ ও নারী ১২ হাজার ২০০ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩১ ডিসেম্বর। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয় ৩ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১০ জানুয়ারি। পরের দিন প্রতীক বিতরণ করা হবে। ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ার ঘটনায় ৩ জানুয়ারি প্রথম আলোর অনলাইনে ও ৪ জানুয়ারি ছাপা পত্রিকার ৬ পৃষ্ঠায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।