প্রধান আসামিসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে

খুলনার মশিয়ালী গ্রামে এলোপাতাড়ি গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামিসহ তিনজনসংগৃহীত

খুলনার মশিয়ালী গ্রামে এলোপাতাড়ি গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামিসহ তিনজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শনিবার সাড়ে ১২টার দিকে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন ওই মামলার ১ নম্বর আসামি শেখ মিল্টন, তাঁর বড় ভাই ২ নম্বর আসামি শেখ জাকারিয়া ও তাঁদের চাচাতো ভাই ৪ নম্বর আসামি শেখ রেজোয়ান ওরফে রাজু। গত ১৬ জুলাই রাত ৮টার দিকে মশিয়ালী পূর্ব পাড়া গ্রামবাসীর ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে সপরিবারে পালিয়ে যান তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) একটি গোয়েন্দা দল।

খুলনার ফুলতলা উপজেলার মশিয়ালী গ্রামে শেখ জাকারিয়ার বাড়ি। গত ১৬ জুলাই রাতে গুলির ঘটনার পর গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে এটিসহ তাঁর সব ভাই ও আত্মীয়দের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনার দুই দিন পর এটি ১৮ জুলাই তোলা ছবি
সাদ্দাম হোসেন

এর আগে ওই মামলার এজাহারভুক্ত ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগে গ্রেপ্তার ওই ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনই আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার দুই দিন পর (১৮ জুলাই) প্রথম মিল্টন-জাকারিয়াদের ছোট ভাই মামলার ৩ নম্বর আসামি শেখ জাফরিন হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে এর আগে ১৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ওই মামলার ২২ জন আসামির মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলো পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো. এনামুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে তাঁদের (তিন আসামিকে) নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়। খুলনায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক রাত হয়ে যায়। তাই আজ দুপুরে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এনামুল হক বলেন, আসামিরা এক এলাকায় কখনো স্থায়ী ছিলেন না। এ কারণে তাঁদের ধরতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। সর্বশেষ গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।

মশিয়ালী গ্রামটি খুলনার ফুলতলা উপজেলার আটরা-গিলেতলা ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। তবে সেটি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী থানার আওতাধীন। গত ১৬ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে মশিয়ালী গ্রামের পূর্ব পাড়ার সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়েন ওই এলাকার প্রভাবশালী ও আওয়ামী লীগের নেতা শেখ জাকারিয়া, তাঁর মেজ ভাই শেখ মিল্টন ও ছোট ভাই শেখ জাফরিন হাসান। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আরও অন্তত ১০ জন।

আরও পড়ুন